May 9, 2024

Bangla

Live News & Updates From West Bengal পশ্চিমবঙ্গ থেকে লাইভ খবর ও আপডেট

  • লকেটকে দিলেন খোঁচা! কেন হুগলিতে প্রার্থী হলেন রচনা? “আসল সত্যি” সামনে আনলেন মমতা

    বাংলা হান্ট ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে টলিউডের দুই তারকা অভিনেতার টক্কর পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেখানে একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছেন দেব (Dev) এবং হিরণ (Hiranmoy Chatterjee)। ঠিক এইরকমই ছবি পরিলক্ষিত হচ্ছে হুগলিতেও। সেখানে চলছে টলিউডের দুই অভিনেত্রীর লড়াই। যেখানে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বেশ কয়েক বছর রাজনীতির ময়দানে থাকা লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী করেছেন রাজনীতিতে এক্কেবারে সদ্য পদার্পণ করা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rachna Banerjee)। তবে, রাজনীতির ময়দানে আসা থেকেই বিভিন্ন কারণে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন “দিদি নম্বর ওয়ান”। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের সামনে তিনি মুখ খুললেই রাতারাতি তা হয়ে যাচ্ছে ভাইরাল। কিন্তু, হুগলির প্রার্থী হিসেবে কেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেছে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী? অবশেষে এই বিষয়ে মুখ খুললেন মমতা। হুগলির বলাগড়ে উপস্থিত হয়ে মমতা জানালেন সেই কথা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “রচনাকে আমি প্রার্থী করেছি। কারণ যিনি এখানে বিজেপির প্রার্থী রয়েছেন তিনি সকলের গলারই লকেট।” তবে, এটা বলার সাথে সাথেই তিনি আরও জানান যে, “আমি কিন্তু খারাপ সেন্সে না বলে ভালো সেন্সেই বলছি। আর আমি এটাই বলব, অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো। তাই আমি রচনাকে প্রার্থী করেছি।” এমতাবস্থায়, মুখ্যমন্ত্রী “সকলেরই গলার লকেট” বলার মাধ্যমে কি বোঝাতে চেয়েছেন সেটা কিন্তু স্পষ্ট হয়নি। আরও পড়ুন: ভারতে কমছে হিন্দু, ৪৩ শতাংশ বাড়ল মুসলিম! ভোটের মাঝেই এল জনসংখ্যা নিয়ে রিপোর্ট এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, রুপোলি দুনিয়ার ক্ষেত্রে লকেট-রচনা দু’জনেই অত্যন্ত পরিচিত এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী। বেশ কয়েক বছর ধরে দাপটের সাথে অভিনয় করেছেন দু’জনই। এদিকে, লকেটকে অভিনয়ের দুনিয়ায় বর্তমানে দেখা না গেলেও রচনা এখনও যথেষ্ট যুক্ত রয়েছেন কাজের সাথে। বিভিন্ন শো-তেও তাঁকে দেখা যায়। এদিকে, লকেট ২০১৯ সালের হুগলির সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারেও টিকিট পেয়ে তিনি করছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আরও পড়ুন: ভোট দিতে এসেই খুলে গেল কপাল! হিরের আংটি পেলেন ভোটাররা, আধিকারিকরাই দিলেন “উপহার” তবে, ভোট প্রচারের ক্ষেত্রে বেশ হালকা মেজাজেই দেখা যাচ্ছে রচনাকে। যেটি উপভোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। কখনও এই তারকা প্রার্থীকে মাছ কিংবা সবজি কিনতে দেখা যাচ্ছে, কখনও বা তিনি তাঁর মজাদার কথার মাধ্যমে নিয়ে রাখছেন লাইমলাইট। আর এইভাবেই “কমেডি”-র আড়ালে রচনা থাকছেন খবরের শিরোনামে। তবে, লকেট “বেশ সিরিয়াসভাবেই” চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার। এমতাবস্থায়, নির্বাচনের লড়াইতে শেষ হাসি কে হাসবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।

  • পুজোর ছুটিতে আনন্দ করার দিন শেষ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। নতুন পরিকল্পনা সংসদের

    বাংলাহান্ট ডেস্ক : চলতি বছর থেকে উচ্চমাধ্যমিকে শুরু হচ্ছে নয়া পাঠ্যক্রম। এ বছর যারা মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়ে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হবেন তারা নতুন সিলেবাসে পড়াশোনা করবেন। পরীক্ষা পদ্ধতি বদলে যাওয়ার ফলে বদল আনা হয়েছে সিলেবাসে। এ বছর থেকে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু হচ্ছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে। নতুন পদ্ধতিতে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে তার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (West Bengal Council of Higher Secondary Education) একের পর এক নয়া পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। গরমের ছুটি, অন্যান্য ছুটিসহ দুর্গাপুজোয় প্রত্যেক বছরই ছুটি থাকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের। তবে সংসদের নয়া ভাবনায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা হয়ত দুর্গাপুজোর ছুটিতে আগের মতো আনন্দ পাবেন না। আরোও পড়ুন : SSC কাণ্ডে ফের হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য! এবার যা জানতে চাইল আদালত, মুখে কুলুপ সবার সংসদের পক্ষ থেকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য যে অ্যানুয়েল ওয়ার্কিং প্ল্যান জারি করা হয়েছে সেই প্রেক্ষিতেই এই কথা বলা হচ্ছে। সংসদের অ্যানুয়াল ওয়ার্কিং প্ল্যানে প্রথম থেকেই অনলাইন ক্লাসে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বিষয়টি নিয়ে বলছেন, মে মাসের মধ্যবর্তী সময়ে যেমন অনলাইন ক্লাস নেওয়া হবে, তেমনই দুর্গাপুজোর ছুটিতেও অনলাইন ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আরোও পড়ুন : আর কলকাতার পথ-ঘাটে জমে থাকবে না জল! কতক্ষণে পরিস্কার হবে রাস্তা? জানাল পুরসভা তবে পুজোর ছুটিতে অনলাইন ক্লাসে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হবে সেই বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি। পুজোর ছুটিতে অর্থাৎ ১৭ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই ১৪ দিন অনলাইন ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। আর এই নিয়ম যদি কার্যকর হয় তাহলে পুজোর ছুটিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আনন্দের দিন যে শেষ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।   নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি অনুযায়ী বেঁধে দেওয়া হয়েছে কনট্যাক্ট আওয়ার্স। প্রথম সেমিস্টারে প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য ১০০ ঘন্টা, দ্বিতীয় সেমিস্টারের জন্য ৮০ ঘন্টা ও টিউটোরিয়ালের জন্য ২০ ঘন্টা নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে সংসদের পক্ষ থেকে। এই কারণে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে পুজোর ছুটিতে।

  • SSC কাণ্ডে ফের হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য! এবার যা জানতে চাইল আদালত, মুখে কুলুপ সবার

    বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam)  কান্ডের সাথে যুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সৌমিত্র সরকার, অশোক সাহার মতো এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান, সেক্রেটারিদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন কে দেবেন সেই নিয়েই চলছে জল্পনা কল্পনা। এদিকে, আদালতের (Highcourt) নির্দেশের পরেও কেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাননি, তা নিয়ে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি, বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি কার কাছ থেকে আসবে তাই নিয়ে আদালতে ধোঁয়াশা জারি রইল বুধবারও। আরোও পড়ুন : আর কলকাতার পথ-ঘাটে জমে থাকবে না জল! কতক্ষণে পরিস্কার হবে রাস্তা? জানাল পুরসভা এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে, গত শুনানিতে অভিযুক্তদের এক আইনজীবী বলেন, শান্তিপ্রসাদসহ বেশ কয়েকজনের নিয়োগকর্তা রাজ্যপাল। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দেওয়ার এক্তিয়ারই নেই মুখ্যসচিবের। তারপরেই বিচারপতি বাগচী সিবিআই আধিকারিকদের একহাত নেন। তিনি সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, কেমন তদন্তকারী সংস্থা আপনারা। আরোও পড়ুন : মাত্র ৭ দিনেই মিলবে HS’র স্ক্রুটিনি-রিভিউয়ের রেজাল্ট! দিতে হবে শুধু ৪ গুণ টাকা, কিভাবে আবেদন করবেন? পাশাপাশি বিচারপতির আরোও সংযোজন, গত দু বছর ধরে মুখ্যসচিব অনুমতি দিচ্ছেন না বলার পরে এখন কেন উল্লেখ করা হচ্ছে যে তাঁর অনুমতি দেওয়ার এক্তিয়ারই নেই? এদিন মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, ‘আইন অনুসারে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর আবেদন মুখ্যসচিবের কাছেই পাঠাতে হবে। তিনি রাজ্যপালের কাছে সেই আবেদন পাঠাবেন।’ এরপর রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে আদালত বলে, ‘মুখ্যসচিব রাজ্যপালকে সুপারিশ করতে পারেন কি না তা তাঁকে জানাতে হবে।’ বিচারপতি জানান, এমনও হতে পারে, পদাধিকারবলে রাজ্যপাল এদের নিয়োগকর্তা হলেও বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর বিষয়টি মুখ্যসচিবের হাতে ন্যস্ত থাকতে পারে। শেষ পর্যন্ত জানা যায়,আগামী ১১ জুন মামালার পরবর্তী শুনানিতে মুখ্যসচিবকে আদালতে তাঁর জবাব জানাতে হবে।

  • আর কলকাতার পথ-ঘাটে জমে থাকবে না জল! কতক্ষণে পরিস্কার হবে রাস্তা? জানাল পুরসভা

    বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিন কয়েক আগেও সাংঘাতিক গরমে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গবাসীর। চাতক পাখির মতো বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছিল সকলেই। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবারেই বৃষ্টির দেখা মিলল। আর, সোমবারের বৃষ্টিতেই রীতিমতো জল থইথই অবস্থা শহর কলকাতার (Kolkata)। বলা বাহুল্য, একনাগাড়ে কিছুক্ষণ বৃষ্টি হলেই উত্তর থেকে শুরু করে দক্ষিণ সর্বত্রই জলমগ্ন হয়ে যায় কলকাতায়। কোথাও হাঁটু জল, আবার কোথাও কোমর অবধি জল জমে। ফলে, বাড়তে থাকে বিভিন্ন রাস্তায় যানজট। সব মিলিয়ে বলা যায়, নাজেহাল অবস্থা হয় তিলোত্তমাবাসীর। তবে, এবার অবশ্য আমজনতার উদ্দেশ্য খুশির খবর দিল পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। আরোও পড়ুন : মাধ্যমিকে ২০, উচ্চমাধ্যমিকে ২! রেজাল্ট শুনেই চোখে জল সৌম্যদীপের বাবা-মার পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার ১০০ মিলিমিটার অবধি বৃষ্টি হলেও ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে জল নেমে যাবে। পুরসভার আধিকারিকরা জানান, এক সময় কলকাতার নিকাশি পথে প্রতি ঘণ্টায় বৃষ্টির জল নেমে যাওয়ার ক্ষমতা ছিল ৬.১০ মিলি মিটার। এখন, নিয়ম করে ম্যানহোল থেকে পলি পরিষ্কারের কারণে জল নিষ্কাশনের ক্ষমতা অনেকখানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আরোও পড়ুন : মাত্র ৭ দিনেই মিলবে HS’র স্ক্রুটিনি-রিভিউয়ের রেজাল্ট! দিতে হবে শুধু ৪ গুণ টাকা, কিভাবে আবেদন করবেন? বর্তমানে সেই ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে প্রতি ঘণ্টায় ৩০ মিলিমিটার পর্যন্ত। এ বিষয়ে নিকাশী বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং জানান, জল নামতে কতটা সময় লাগবে তা অবশ্যই বৃষ্টির পরিমাণের উপর নির্ভর করছে। যদি ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় তাহলে সেক্ষেত্রে জল নামতে সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা সময় লাগবে। আর যদি তার থেকে বেশি হয় তাহলে বেশি সময় লাগবে। তবে, শহর কলকাতায় জল নিষ্কাশনের প্রসঙ্গে অবশ্য আরেকটি তত্ত্বও উঠে এসেছে। শহরে বৃষ্টির জল জমা এবং নেমে যাওয়ার সঙ্গে হুগলি নদীর জোয়ার ভাটার সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। কলকাতা শহরের সমস্ত জল হুগলি নদীতে গিয়ে পড়ে বলেই জোয়ারের সময় লকগেট বন্ধ আর ভাটার সময় আবার গেট খুলে দেওয়া হয়। ফলে ভাটা থাকলে দ্রুত জল নেমে যাবে।

  • মাধ্যমিকে ২০, উচ্চমাধ্যমিকে ২! রেজাল্ট শুনেই চোখে জল সৌম্যদীপের বাবা-মার

    বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় নাম ছিল ২০ নম্বরে। তাই উচ্চমাধ্যমিকে প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন জোর কদমে। একেবারে ঠিক করে নিয়েছিলেন আরো ভালো রেজাল্ট করতে হবে। আর এবারের সেই মতোই উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary Examination) পরীক্ষার ফল বেরোতেই, রেজাল্ট দেখে তাক লাগিয়ে দিলেন সবাইকে। বুঝতে পারছেন কার কথা বলা হচ্ছে ? আলোচনা হচ্ছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র সৌম্যদীপ সাহাকে নিয়ে। ৪৯৫ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন তিনি। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র সৌম্যদীপকে ঘিরে অনেক আশা ছিল শিক্ষকদের। এদিকে সৌম্যদীপের নিজেরও উচ্চ মাধ্যমিকে (Higher Secondary Examination) শীর্ষ কোনও স্থান দখল করার লক্ষ্য ছিল প্রথম থেকেই। ফলে, তার রেজাল্ট বেরোনোর পর থেকেই সকলেই উচ্ছ্বসিত। আরোও পড়ুন : মাত্র ৭ দিনেই মিলবে HS’র স্ক্রুটিনি-রিভিউয়ের রেজাল্ট! দিতে হবে শুধু ৪ গুণ টাকা, কিভাবে আবেদন করবেন? সূত্রের খবর, উত্তর চব্বিশ পরগণার (North 24 Pargana) বারাসাতের বাসিন্দা সৌম্যদীপ। যেহেতু গণিত তার প্রিয় বিষয় সে জন্য ভবিষ্যতে গণিত চর্চা করতেই আগ্রহী তিনি। রাশিবিজ্ঞান (স্ট্যাটিস্টিক) নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন সৌম্যদীপ। পড়ার বাঁধাধরা সময় কিছু না থাকলেও দিনে পাঁচ-ছ’ঘণ্টা পড়তেন সৌম্যদীপ। অবসর সময়ে গল্পের বই, আবৃত্তি নিয়েই সময় কেটে যায় এই কৃতির। আরোও পড়ুন : ঠাকুর নয়! রবীন্দ্রনাথের আসল পদবী ছিল অন্য! অবাক লাগছে? জানুন, কবিগুরুর সেই অজানা সত্য সৌম্যদীপের কথায়, ‘‘মাধ্যমিকের সময় ভাবিনি কখনও, কিন্তু এই ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই আমার একটাই টার্গেট ছিল উচ্চ মাধ্যমিকে র‍্যাঙ্ক করতে হবে। তাই প্রস্তুতিও সেই মতোই নিয়েছিলাম। আমি খুব খুশি আমার এই ফলাফলে।’’ পাশাপাশি এই কৃতি আরোও জানিয়েছেন, স্কুলের নিয়ম অনুসারে মোবাইল ফোন সঙ্গে না থাকায় পড়াশোনার প্রতি আরও বেশি করে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। বাবা-মায়ের প্রতিক্রিয়ার সৌম্যদীপের সংযোজন, ‘‘বাবা-মা খুবই খুশি। প্রথম যখন জানতে পারলেন কেঁদে ফেলেছিলেন দু’জনেই।’’ সৌম্যদীপের এই ফলাফলে তাঁর স্কুলের প্রধানশিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দ বলেন, ‘‘সৌম্যদীপ সব সময়ই একটু গম্ভীর প্রকৃতির। আমরা আশা করেছিলাম ওর ফল ভাল হবে। কারণ প্রথম থেকেই খুব সিরিয়াস ভাবেই ও পড়াশোনা করেছে।’’  

  • হাতে সময় কম, ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড় দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায়! চলবে তুমুল তাণ্ডব

    বাংলা হান্ট ডেস্ক: আর মাত্র কিছুক্ষণ, তারপরই আসছে বৃষ্টি। শুক্রবারও গোটা দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার একাধিক জেলাতে থাকছে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। শনিবার অবধি আবহাওয়া (Weather) এমনই থাকবে। এরপর রবিবার থেকে কিছুটা উন্নত হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন জেলাতে বৃষ্টিপাত হতে পারে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত চলতে পারে। সাথে হাওয়া বইবে ৪০ কিমি গতিবেগে। শুক্রবার ঝড় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। এছাড়া কালবৈশাখী তৈরি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, বীরভূম, নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলোতে বজ্রবিদ্যুৎ সহযোগে ঝড় এবং বৃষ্টিপাত চলতে থাকবে। সাথে ঝড়ো হাওয়া বইবে ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে। আগামী রবিবারের থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। এখানে জানিয়ে রাখি যে, বাংলাদেশ, অসম এবং মধ্যপ্রদেশের ওপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। আগামী ৯ মে নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করতে চলেছে। এর ফলে সমুদ্রের উপকূলবর্তী অঞ্চলে জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন:মোহনবাগান দিবসে বিরাট উপহার! কলকাতায় আসছেন বিশ্বকাপ জেতা এই তারকা তবে বৃষ্টির দৌলতে কলকাতার তাপমাত্রা একসাথে অনেকখানি কমে গিয়েছে। বৃষ্টির পর রেহাই মিলেছে ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে। জানিয়ে রাখি, কলকাতার সর্বোচ্চ স্বাভাবিক তাপমাত্রা ছিল ৩২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি মতো কম এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যায় ২২.২ ডিগ্রিতে। যা কিনা স্বাভাবিকের থেকে ৪.৬° কম। আরও পড়ুন:মাধ্যমিকে দারুণ রেজাল্ট, চোখে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন! দিনমজুরের ছেলের দিকে সাহায্যের হাত বাড়াল পুলিশ জানিয়ে রাখি, উত্তরবঙ্গে এখন বৃষ্টিপাত চলতে থাকবে। উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টি চলতে থাকবে। সাথে ৪০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকবে। শনিবার উত্তরবঙ্গের আবহওয়াতে পরিবর্তন আসবে। বৃষ্টি চলতে থাকবে উওর পূর্বেও। অসম, মেঘালয়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়ে গিয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন অংশেও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

  • মাত্র ৭ দিনেই মিলবে HS’র স্ক্রুটিনি-রিভিউয়ের রেজাল্ট! দিতে হবে শুধু ৪ গুণ টাকা, কিভাবে আবেদন করবেন?

    বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের (Higher Secondary Examination) ফলাফল। ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর বহু পরীক্ষার্থী তাদের রেজাল্ট স্ক্রুটিনি-রিভিউ করাতে চান। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (West Bengal Council of Higher Secondary Education) চালু করেছে ‘তৎকাল স্ক্রুটিনি’ এবং ‘তৎকাল রিভিউ’ প্রক্রিয়া। সাধারণ স্ক্রুটিনি-রিভিউয়ের রেজাল্ট যত দিনে আসবে, তার থেকে অনেক আগেই রেজাল্ট পেয়ে যাবেন ‘তৎকাল স্ক্রুটিনি’ এবং ‘তৎকাল রিভিউ’-এর জন্য আবেদনকারী পরীক্ষার্থীরা। তবে তৎকাল সুবিধা নেওয়ার জন্য খরচ করতে হবে অতিরিক্ত টাকা। প্রসঙ্গত, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পোর্টালে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা রেজাল্ট জানতে পারবেন। আরোও পড়ুন : টানা ২০ দিন ট্রাফিক ব্লক! কবে থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে শিয়ালদায়? নয়া আপডেট দিল রেল চলুন এই ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।‘তৎকাল স্ক্রুটিনি’ এবং ‘তৎকাল রিভিউ’ এর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে আগামী ১০ মে দুপুর ২ টো থেকে। আগামী ১৩ মে মধ্যরাত পর্যন্ত পরীক্ষার্থীর আবেদন জানাতে পারবেন। ‘তৎকাল স্ক্রুটিনি’-র জন্য প্রদান করতে হবে ৬০০ টাকা ও ‘তৎকাল রিভিউ’-র জন্য প্রদান করতে হবে ৮০০ টাকা। এই টাকা দিতে হবে প্রতিটি বিষয়ের জন্য।  আরোও পড়ুন : ঠাকুর নয়! রবীন্দ্রনাথের আসল পদবী ছিল অন্য! অবাক লাগছে? জানুন, কবিগুরুর সেই অজানা সত্য ‘তৎকাল স্ক্রুটিনি’-র আবেদন করা যাবে প্রতিটি বিষয়ের জন্য। দুটি বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে ‘তৎকাল রিভিউ’-র। জানা গেছে, আবেদন জানানোর সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষার্থীরা ‘তৎকাল স্ক্রুটিনি’ এবং ‘তৎকাল রিভিউ’-র ফলাফল জানতে পারবেন। অন্যদিকে, সাধারণ স্ক্রুটিনি এবং রিভিউয়ের আবেদন শুরু হচ্ছে আগামী ১০ই মে দুপুর ২ টো থেকে।  আবেদন প্রক্রিয়া চলবে আগামী ২৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত। সাধারণ স্ক্রুটিনি এবং রিভিউয়ের জন্য লাগবে যথাক্রমে ১৫০ ও ২০০ টাকা করে। রিভিউ ও স্ক্রুটিনির আবেদনের জন্য উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট wbchse.wb.gov.in-এ গিয়ে ক্লিক করতে হবে  ‘Students Login’-তে। নতুন পেজ খুলে গেলে ক্লিক করতে হবে ‘New User Sign Up’ অপশনে। এরপর যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে ইনস্টিটিউশন কোড (মার্কশিটের উপরের দিকে থাকবে), নাম, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি, আধার কার্ড, জন্মতারিখ, উচ্চমাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনের বছর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে। তারপর  ‘Create Account’ অপশনে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন শেষ করতে হবে। এরপর পরীক্ষার্থীদের যেতে হবে  ‘PPS/PPR’ ট্যাবে। সেখানে রোল নম্বর এবং মার্কশিট নম্বর (মার্কশিটের কোণের দিকে দেওয়া আছে) দিয়ে ক্লিক করতে হবে  ‘Validate Roll No & Marksheet No’-তে। এরপর রিভিউ বা স্ক্রুটিনি করতে চান যে বিষয়গুলির সেগুলি সিলেক্ট করতে হবে। সবশেষে ‘Submit’ বাটনে ক্লিক করে অনলাইনে টাকা পেমেন্ট করতে হবে।

  • টানা ২০ দিন ট্রাফিক ব্লক! কবে থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে শিয়ালদায়? নয়া আপডেট দিল রেল

    বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি রেলের (Indian Railways) বিভিন্ন কাজের জন্য বারবার ট্রাফিক ব্লক করা হয়েছে। পূর্ব রেল একটানা ২০ দিন শিয়ালদা ডিভিশনের দমদম জংশন স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মোট ৪৮০ ঘণ্টা ট্রাফিক ব্লকের সিদ্ধান্ত নেয়। এই ট্রাফিক ব্লক ছিল ১৮ই এপ্রিল থেকে ৭ই মে পর্যন্ত। ট্রাফিক ব্লক চলাকালীন একদিকে যেমন বাতিল করা হয়েছিল বহু ট্রেন (Train), অন্যদিকে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল একাধিক ট্রেনের রুট। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গতকাল অর্থাৎ ৭ তারিখ ছিল ট্রাফিক ব্লকের শেষ দিন। নোটিশ অনুযায়ী আজ থেকে স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার কথা শিয়ালদা ডিভিশনে ট্রেন চলাচল। তবে আজ শিয়ালদা স্টেশনে পরিস্থিতি কী? চলুন জেনে নেব। পূর্ব রেলের মুখ্যজনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র এই বিষয়ে জানিয়েছেন, গতকাল ট্রাফিক ব্লক শেষ হয়ে গেছে। আরোও পড়ুন : ঠাকুর নয়! রবীন্দ্রনাথের আসল পদবী ছিল অন্য! অবাক লাগছে? জানুন, কবিগুরুর সেই অজানা সত্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য যদি কোনও সমস্যা হয় সেটি অন্য ব্যাপার। কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, ট্রাফিক ব্লকের জন্য সমস্যা নেই ট্রেন চলাচলে। শিয়ালদা ডিভিশনের বনগাঁ, হাসনাবাদ, ব্যারাকপুর, বিবাদী বাগের মতো কিছু লাইনে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল গত ১৮ই এপ্রিল থেকে ৭ই মে পর্যন্ত। এছাড়াও ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল মাঝেরহাট, লক্ষ্মীকান্তপুর, রানাঘাটের মতো লাইনের একাধিক ট্রেনের। প্রতিদিন শিয়ালদা (Sealdah) স্টেশন থেকে হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন নিজেদের গন্তব্যে। তাই ট্রাফিক ব্লকের ফলে সমস্যায় পড়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, হুগলি জেলার বহু মানুষ। আজ থেকে শিয়ালদা লাইনে স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল। ট্রেনের সমস্যা বিশেষ একটা চোখে পড়েনি। নিত্যযাত্রীরাও পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ তোলেননি আপাতত।

  • থাপ্পড় মেরে তাড়িয়ে দেব! ভোটের মাঝেই তৃণমূল নেতা, কর্মীদের হুঁশিয়ারি মমতার

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে জেলায় জেলায় ঘুরে সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার তিনি হাজির হয়েছিলেন আরামবাগে (Arambagh)। অপরূপা পোদ্দারকে ছেড়ে এবার এই আসনে মিতালি বাগকে দাঁড় করিয়েছে জোড়াফুল শিবির। আজ মিতালির সমর্থনে আয়োজিত সভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে নিশানা করার পাশাপাশি তৃণমূলের নেতা, কর্মীদেরও হুঁশিয়ারি দিলেন দলনেত্রী! আজকের সভায় দাঁড়িয়ে সিপিএম-বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, ‘সিপিএমের হার্মাদেরাই বর্তমানে বিজেপি হার্মাদ হয়ে গিয়েছে। ওঁদের আমার থেকে ভালো আর কেউ চেনে না। গড়বেতা থেকে আরামবাগ অবধি সিপিএম মাটির নীচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে রেখেছিল। মানুষকে খুন করে সেখানে ফেলে দিত। তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যেত না’। এরপর নিজের দলের নেতা, কর্মীদের সম্বন্ধে তৃণমূল (TMC) নেত্রী বলেন, আমাদের কেউ যদি বদমায়েশি করে, তাহলে আমি তাঁকে থাপ্পড় মেরে তাড়িয়ে দিতে পারি। কিন্তু বিজেপি সেটা করবে না। সিপিএমের হার্মাদ এখন বিজেপিতে এসে গিয়েছে। টাকা দিয়ে ভোট কিনছে। আরও পড়ুনঃ ‘ঈশ্বরের রূপ’! দেব হিরণ নয়, ভোটের আগে ঘাটালে জিতলেন গোপাল! এই ব্যক্তির আসল পরিচয় চমকে দেবে বিজেপিকে আক্রমণের পর সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন মমতা। বলেন, ‘আমি ওনার নাম দিয়েছি প্রচারমন্ত্রী। ঘুম থেকে ওঠা থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবধি সব জায়গায় ওনার ছবি। শুধু নিজের প্রচার করতে ভালোবাসেন’। এদিনের সভা থেকেও এসএসসি মামলার সুপ্রিম-রায় নিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপিকে ‘চাকরিখেকো বাঘ’ তকমা দিয়ে মমতা বলেন, ’২৬,০০০ ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিল। মাইনে ফেরত দিতে বলল। আমি সেদিন থেকে বলেছি, চিন্তা করবেন না, আমি পাশে আছি । মঙ্গলবার দুর্গাপুরে মিছিল করলেও মনটা সুপ্রিম কোর্টে পড়েছিল। কী রায় হয় সেটা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। রায় শোনার পর মনটা স্নিগ্ধ, তৃপ্ত হয়ে গেল। এরা মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয়। এরা মানুষ না, দৈত্য’। সন্দেশখালি ‘স্টিং অপারেশন’ নিয়েও কথা বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বলেন, ‘সন্দেশখালিতে কেমন টাকার খেলা হয়েছে দেখলেন তো? মা-বোনেদের সম্মান যদি চলে যায়, তাহলে কি টাকা দিয়ে সেটা ফেরত আছে? এর বদলা চাই। ভোটের মাধ্যমে সন্দেশখালির বদলা হবে’।

  • ‘ঈশ্বরের রূপ’! দেব হিরণ নয়, ভোটের আগে ঘাটালে জিতলেন গোপাল! এই ব্যক্তির আসল পরিচয় চমকে দেবে

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল (Ghatal) কেন্দ্রের দিকে নজর থাকবে অনেকের। একদিকে দেব, অন্যদিকে হিরণ চট্টোপাধ্যায়, টলিপাড়ার দুই নায়কের এই লড়াইয়ে কে বাজিমাত করল তা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন অনেকেই। তবে তার আগেই ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে ঘটে গেল এক দারুণ ঘটনা। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর আদলে দাসপুরে (Daspur) একটি ব্রিজ বানিয়ে সাড়া ফেলে দিলেন গোপাল নামের এক প্রৌঢ়। পরনে লুঙ্গি, শার্ট, পায়ে হাওয়াই চটি। নদীতে ডিঙি পারাপার করান গোপাল মল্লিক। রোজ ভালোই ভিড় হয়। বৃষ্টিবাদলের মরশুম এলে সেই ভিড়ের পরিমাণ আরও বাড়ে। আর সেই সময়ই তিনি উপলব্ধি করেন, দাসপুরে একটা সেতু কতটা জরুরি। যেমন ভাবা তেমন কাজ! সেতু তৈরির জন্য অল্প অল্প করে কষ্টার্জিত টাকা জমাতে শুরু করেছিলেন গোপাল। এবার ভোটের আবহে কড়কড়ে ২৪ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি আস্ত সেতু বানিয়ে ফেললেন তিনি। ঘাটাল জুড়ে বর্তমানে প্রচার চালাচ্ছেন বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী দেব। কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন হিরণও। তবে তার মাঝেই প্রশাসনের ওপর আস্থা হারিয়ে ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দাসপুরে আস্ত সেতু তৈরি করে ফেললেন গোপাল। ব্যক্তিগত উদ্যোগেই কাঁসাই নদীর ওপর সেতু বানালেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে পুজোর পর হইহই করে সেতুর উদ্বোধনও হয়ে গেল। আরও পড়ুনঃ দেড় মাস বাড়ির বাইরে, হারিয়েছেন কথা বলার ক্ষমতা! ভোটের মধ্যে অসুস্থ মমতা! জানালেন নিজেই ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ১ নং ব্লকের নিজাপুরের। গোপালের এই সেতু তৈরির ফলে সুরাহা হল রবিদাসপুর, নিজামপুর তিলন্দ, বালক রাউত, নন্দনপুর, গোবিন্দগর সহ প্রায় ১০-১৫টি গ্রামের বাসিন্দাদের। দাসপুরের নিজামপুর এবং পার্বতীপুরের মধ্যে কাঁসাই নদী পারাপারের ভরসা ছিল বাঁশের সাঁকো। কিন্তু বর্ষাকাল এলেই তা জলের তোড়ে ভেঙে যেত। রাতবিরেতে কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে অ্যাম্বুলেন্স আসার পরিস্থিতিও থাকতো না। প্রায় ৫-৬ কিমি ঘুরে আসতে হতো অ্যাম্বুলেন্সকে। সেই সঙ্গেই চাষিদের ফলানো ফসল বাজারে নিয়ে যেতেও সমস্যা হতো। গ্রামবাসীদের যাতে এই কষ্ট আর না করতে হয়, সেই কারণেই এবার ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি সেতু তৈরি করলেন নিজামপুর নিবাসী গোপাল মল্লিক। বর্ষাকালে নদীতে পানার চাপের সমস্যার কথা মাথায় রেখে ব্রিজের মধ্যে প্রায় ৪২ ফুট পিলার ছাড়া। সেই অংশ যাতে পোক্ত হয়, সেই জন্য লোহার তারের টান। সব কিছু মিলিয়ে, দাসপুরের বুকে যেন অবিকল দ্বিতীয় হুগলি সেতু গড়ে উঠল। গোপালের এই উদ্যোগে মুখে হাসি ফুটেছে গ্রামবাসীদের। অনেকেরই আবার প্রশ্ন, একজন গ্রামবাসী ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেতু বানিয়ে ফেলল, অথচ কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকার কেন পারল না? গ্রামবাসীদের তরফ থেকে একাধিকবার পাকা সেতুর আবেদন করা হয়েছে। তবে এবার গোপাল তাঁদের সেই আবেদন পূরণ করায় খুশি প্রত্যেকে। এই প্রসঙ্গে গোপাল বলেন, ‘চোখের সামনে মানুষকে কষ্ট পেতে দেখেছি। নেতা, মন্ত্রীদের থেকে অনেক আশ্বাস শুনেছি। নিজেই নৌকা পারাপার করতাম। রোজ চোখের সামনে যা দেখেছি, এরপরেই ঠিক করি একটা সেতু বানাব’। গ্রামবাসীরা আবার বলছেন, ‘এমন মানুষ ঈশ্বরের দান! টাকা তো অনেকেরই থাকে, কিন্তু ভাবেন কতজন?’ এদিকে তৃণমূল এবং বিজেপি, উভয় পক্ষের নেতারাই মেনে নিয়েছেন এই সেতু হওয়ায় সাধারণ মানুষের সুরাহা হবে। ঘাটাল সংগঠনিক জেলা তৃণমূল নেতা কৌশিক কুলভি বলেন, ‘ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই কাজ হওয়ায় অনেক মানুষের উপকার হবে। প্রশাসনের তরফ থেকে যদি হতো তাহলে একটু সময় লাগতো’। স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রশান্ত বেরার মুখেও শোনা গিয়েছে একই সুর। সেই সঙ্গেই তিনি আবার তৃণমূলকেও বিঁধেছেন।

  • দেড় মাস বাড়ির বাইরে, হারিয়েছেন কথা বলার ক্ষমতা! ভোটের মধ্যে অসুস্থ মমতা! জানালেন নিজেই

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের জন্য জেলায় জেলায় ঘুরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মাঝেমধ্যে দিনে দু-তিনটে করেও সভা করছেন তৃণমূল নেত্রী। আর এসব করেই একপ্রকার কাহিল হয়ে পড়েছেন তিনি। মঙ্গলবার নিজেই জানালেন, কার্যত কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন তিনি। বৈশাখের গরমে হাঁসফাঁস দশা সাধারণ মানুষের। বাড়ি থেকে বেরনোর আগে দু’বার ভাবেন অনেকে। কিন্তু তার মধ্যেই নির্বাচনী প্রচারে বেরোতে হচ্ছে রাজনীতিকদের। দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করছেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতাও। তীব্র রোদ মাথায় নিয়ে অনেকসময় মিছিলে হাঁটতেও দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সেই সঙ্গে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাষণ তো রয়েছেই। মঙ্গলবার যেমন পুরুলিয়ায় দলীয় প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো সমর্থনে করেন তৃণমূল নেত্রী। এরপর বাঁকুড়ার প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী এবং বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের হয়ে জনসভা করেন তিনি। সেই সভায় দাঁড়িয়েই মমতা জানান, রোজ বক্তৃতা দিতে দিতে কথা বলার ক্ষমতা অনেকটাই হারিয়েছেন তিনি। আরও পড়ুনঃ ২৭ লক্ষের শুধু গয়না! সুজাতা যেন সোনায় মোড়া! মোট কত সম্পত্তির মালকিন বিষ্ণুপুরের TMC প্রার্থী? বিষ্ণুপুরর সভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত প্রায় দেড় মাস ধরে আমি বাড়ির বাইরে। বলতে গেলে চিৎকার করতে করতে আমি কথা বলার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলেছি’। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বৈশাখের এই গরমের মধ্যে রোজ জেলায় জেলায় ঘুরে সভা করা, মিছিলে হাঁটা, বক্তৃতা রাখা থেকেই হয়তো এমনটা হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। গতকাল বিষ্ণুপুরের সভায় দাঁড়িয়ে ফের একবার সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সুর চড়াতে দেখা যায় মমতাকে। সন্দেশখালি ‘স্টিং অপারেশনে’র ভিডিও নিয়ে বর্তমানে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ভাইরাল ভিডিও সত্যতা কতখানি তা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকের। বাংলা হান্টও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। তবে বিষ্ণুপুরের সভা থেকে সন্দেশখালি ‘কাঁটা’য় বিজেপিকে বিদ্ধ করেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বলেন, ‘সন্দেশখালিতে দেখেছেন তো! কীভাবে টাকা দিয়ে মেয়েদের আত্মসম্মান বিক্রি করে দিয়েছিল। এরা করতে পারে না এমন কোনও কাজ নেই। রাতের বেলা গাড়িতে করে লুকিয়ে লুকিয়ে বিজেপি এবং আরএসএসের লোকেরা গিয়ে লোকের বাড়িতে বাড়িতে ভোটের জন্য টাকা বিলি করছে। সঙ্গে দু-একজন মহিলা সাথীকেও নিচ্ছে’।

  • ঠাকুর নয়! রবীন্দ্রনাথের আসল পদবী ছিল অন্য! অবাক লাগছে? জানুন, কবিগুরুর সেই অজানা সত্য

    বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলা তথা বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম সফল সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)। ভারত তো বটেই, এশিয়া মহাদেশের প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজেতা রবীন্দ্রনাথ আজও প্রত্যেকটা বাঙালির প্রতিটা নিঃশ্বাসে বেঁচে আছেন। রবীন্দ্রনাথের বহুমুখী প্রতিভা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। রবীন্দ্রনাথ নিজেই একজন প্রতিষ্ঠান। তাঁর বিকল্প তিনি নিজেই। আজ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী। বাংলা সহ বিশ্ব জুড়ে আজ পালিত হচ্ছে রবীন্দ্র জয়ন্তী। কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ (ইংরেজির ১৮৬১ সালের ৭ মে) জন্ম রবীন্দ্রনাথের। রবীন্দ্রনাথের পরিবার ছিল জমিদার বংশ। আরোও পড়ুন : ISC’তে অবাক করে দেওয়া নম্বর অনুব্রত মণ্ডলের! গণিত, রসায়নে ১০০ তে ১০০ ছোটবেলা থেকে অত্যন্ত বৈভবের সাথেই বড় হয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। তবে অনেকেই হয়ত জানেন না রবীন্দ্রনাথের পরিবারের আসল পদবী (Surname) কিন্তু ‘ঠাকুর’ নয়। রবীন্দ্রনাথের পরিবারের আসল পদবী ‘কুশারি’। এই কুশারি থেকে কীভাবে রবীন্দ্রনাথের পরিবার ঠাকুর হয়ে উঠল, সেই বিষয়ে জানার জন্য আমাদের অনেক বছর পিছিয়ে যেতে হবে। আরোও পড়ুন : উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৯০ শতাংশ, এগিয়ে কোন জেলা? এভাবে দেখুন রেজাল্ট জানা যায়, এক ধরনের বিশেষ মাংসের গন্ধ শোঁকার জন্য সুন্দরবন অঞ্চলের চার ব্রাহ্মণ জমিদার ভাই রতিদেব কুশারি, কামদেব কুশারি, শুকদেব কুশারি, জয়দেব কুশারি কলঙ্কিত হন সমাজে। জগন্নাথ কুশারী এনাদেরই পরবর্তী বংশধর।মহেশ্বর আর শুকদেব এই বংশেরই ধারক। জানা যায়, মহেশ্বর আর শুকদেব গোবিন্দপুরের গরিব মানুষদের অত্যন্ত সেবা করেন। তাঁরা গরিব মানুষের কাছে ভগবান বা ঠাকুর হয়ে ওঠেন। গোবিন্দপুরে আসার পর এভাবেই তাঁরা কুশারী পদবী ত্যাগ করে ব্যবহার করতে শুরু করেন ঠাকুর। জানা যায়, ঠাকুর পদবী প্রথমে ব্যবহার করতেন শুধু শুকদেব। তাঁর ভাই মহেশ্বরের ছেলে পঞ্চাননও পরবর্তীকালে ঠাকুর পদবী হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করেন। এইভাবে ধীরে ধীরে রবীন্দ্রনাথের পরিবার ঠাকুর বংশ হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।

  • ২৭ লক্ষের শুধু গয়না! সুজাতা যেন সোনায় মোড়া! মোট কত সম্পত্তির মালকিন বিষ্ণুপুরের TMC প্রার্থী?

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জেতাতে নিজের জান লড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই সুজাতা মণ্ডলকেই (Sujata Mondal) এবার বিষ্ণুপুর থেকে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মাঝেমধ্যেই অভিনব কায়দায় প্রচার করে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসছেন তিনি। সম্প্রতি বাঁকুড়ার মাটিকে প্রণাম করে মনোনয়ন (Nomination) জমা দিয়েছেন সুজাতা । সেই সঙ্গেই বলেছেন, ‘ভোটে জেতালে নাচতে নাচতে আসব’। আজকের প্রতিবেদনে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থীর (Trinamool Congress) সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরা হল। লোকসভা নির্বাচনের আবহে নিয়ম মেনে হলফনামা জমা দিয়েছেন সুজাতা। বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) তৃণমূল প্রার্থী জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা আয় করেছেন তিনি। গত পাঁচ বছরের নিরিখে বলা হলে অঙ্কটা ১৩ লক্ষ ৭০ হাজার ৯০ টাকা। হলফনামা জমা দেওয়ার সময় সুজাতার হতে ছিল নগদ ১৮ হাজার টাকা। তৃণমূল (TMC) প্রার্থী হলফনামায় জানিয়েছেন, বিভিন্ন ইনভেস্টমেন্ট করেছেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হল ৪ লক্ষের একটি জীবন বিমা। সেই সঙ্গেই জানা গিয়েছে, দু’টি গাড়িও রয়েছে সুজাতার। এর মধ্যে একটি চার চাকার এবং দ্বিতীয়টি দু’চাকার। আরও পড়ুনঃ ভোট মিটতেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ! ছড়রা গুলিতে আহত শিশু সহ ৪ জন, অভিযুক্ত তৃণমূল! হলফনামা অনুসারে, সুজাতার চার চাকা গাড়িটি সেকেন্ড হ্যান্ড। সেটির মূল্য ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। এছাড়া তৃণমূল নেত্রীর একটি স্কুটিও রয়েছে। সেটির মূল্য ৫৫ হাজার টাকা। সেই সঙ্গেই তাঁর কাছে প্রায় ৪০০ গ্রাম সোনা রয়েছে। ২৫ এপ্রিল অবধি তার বর্তমান বাজারদর ২৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। বিনিয়োগ এবং অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে সুজাতার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭৫৩ টাকা ৮২ পয়সা। বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থীর হলফনামায় স্থাবর সম্পত্তির কোনও উল্লেখ নেই বলে খবর। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, সুজাতার নামে দু’টি মামলাও রয়েছে। এর মধ্যে একটি রয়েছে পুরুলিয়া জেলা আদালতের অধীনে এবং দ্বিতীয়টি রয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের অধীনে।

  • ISC’তে অবাক করে দেওয়া নম্বর অনুব্রত মণ্ডলের! গণিত, রসায়নে ১০০ তে ১০০

    বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েক বছরে বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম আলোচিত একটি নাম অনুব্রত মণ্ডল। তবে আমরা আজ যে অনুব্রতর কথা বলছি সে ভোটের সময় গুড় বাতাসা দেওয়ার কথাও বলে না, আবার পুলিশকে বোম মারার হুমকিও দেয় না। উল্টে এই অনুব্রত অবাক করে দেওয়া নম্বর পেয়েছে আইএসসিতে (Indian School Certificate)। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে বঙ্গবাসী কতটা স্বস্তিতে সেটা জানতে না পারলেও, আইএসসিতে দেশের মধ্যে সম্ভাব্য তৃতীয় অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে এখন গর্বিত এলাকার মানুষ। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরের বাসিন্দা অনুব্রত মণ্ডল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অনুব্রতকে ভালো করেই চেনেন। আরোও পড়ুন : মাধ্যমিকে দারুণ রেজাল্ট, চোখে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন! দিনমজুরের ছেলের দিকে সাহায্যের হাত বাড়াল পুলিশ তবে কাঁথির (Kanthi) অনুব্রত মণ্ডলের বিশেষ একটা আগ্রহ নেই রাজনীতিতে। তার এখন লক্ষ্য আইআইএসইআর (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ)-এর পরীক্ষা। কন্টাই পাবলিক স্কুলের ছাত্র অনুব্রত ৪০০-র মধ্যে আইএসসিতে ৩৯৭ নম্বর পেয়ে গোটা ভারতে সম্ভাব্য তৃতীয়। ইংরেজিতে ৯৮, পদার্থবিদ্যায় ৯৯, রসায়নে ১০০, গণিতে ১০০, জীববিদ্যায় ৯৩ নম্বর পেয়েছে সে। আরোও পড়ুন : উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৯০ শতাংশ, এগিয়ে কোন জেলা? এভাবে দেখুন রেজাল্ট অনুব্রতর কথায়, “পড়াশোনার কোনও নির্দিষ্ট সময় ছিল না। যখন ইচ্ছে হত, তখনই বই নিয়ে বসে যেতাম।” অনুব্রত দশম শ্রেণীর পরীক্ষাতেও পেয়েছিলেন ৯৮% নম্বর। অনুব্রতর বাবা পীযূষকুমার মণ্ডল ভগবানপুরের বিভীষণপুর হাই স্কুলে শিক্ষকতা করেন। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে কাজ করেন মা মহুয়া মন্ডল। পূর্ব মেদিনীপুর (East Midnapore) জেলা শিক্ষা দফতর মঙ্গলবার সংবর্ধনা দেয় অনুব্রতকে। এদিন স্কুলের অধ্যক্ষ সমরেন্দ্রনাথ দাস জানান,  ‘‘দীর্ঘ ১৫ বছর আমাদের স্কুলে পড়েছে। বরাবর ও খুব ভাল ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি অত্যন্ত সুশৃঙ্খল স্বভাবের। অনুব্রতের সাফল্যে আমরা উচ্ছ্বাসিত।’’

  • ভোট মিটতেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ! ছড়রা গুলিতে আহত শিশু সহ ৪ জন, অভিযুক্ত তৃণমূল!

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি লোকসভা আসনে নির্বাচন হয়েছে। বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad), মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ এবং জঙ্গিপুরে ভোট ছিল কাল। নির্বাচন মিটেছে ২৪ ঘণ্টাও হয়নি। তার আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদ। ছড়রা গুলিতে জখম হয়েছেন তিন শিশু সহ চারজন। অভিযোগের তীর তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে পাশের বাড়ি ছাদ থেকে জল পড়া নিয়ে রানিতলা নিবাসী মনিরুদ্দিন শেখ এবং সৈয়দ আলির পরিবারের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এরপর তা হাতাহাতিতে গড়ায়। সেই সময়ই একজন দুষ্কৃতি বন্দুক নিয়ে এসে গুলি ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। ছড়রা গুলিতে আহত হন তিন শিশু। ৬ বছরে ইব্রাহিম শেখ ও ১০ বছরের সজীব শেখ এবং জসীমউদ্দিন শেখের চোট লাগে। রাজীব শেখ নামের এক স্থানীয় যুবকেরও চোট লেগেছে। আহতদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁদের। আরও পড়ুনঃ অর্জুন গড়ে মোদীর সভা, তার আগেই যা হয়ে গেল… জেনেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন সবাই! মনিরুদ্দিনের অভিযোগ, দুই পরিবারের মধ্যে বচসা চলাকালীন হোসনাবাদ গ্রামের তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের নেতৃত্বে গুলিবৃষ্টি এবং ইট পাথর ছোঁড়া শুরু হয়। নিমেষের মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে হাজির হয় রানিতলা থানার পুলিশ। এরপর তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। অন্যদিকে আহত শিশুদের বাড়িতে আসেন সিপিআইএমের নেতারা। প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্যসভার সদস্য রদরুদ্দোজা খান এবং প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যসভার সদস্য মহাসিন আলি দেখা করেন আহত শিশুদের পরিবারের সঙ্গে। অন্যদিকে যাঁদের বিরুদ্ধে গুলিবৃষ্টি এবং ইট পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ, সেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে নির্বাচনের পরের দিন রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

  • উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৯০ শতাংশ, এগিয়ে কোন জেলা? এভাবে দেখুন রেজাল্ট

    বাংলাহান্ট ডেস্ক : অবশেষে অপেক্ষার অবসান। ফল প্রকাশ হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার (Higher Secondary Examination)। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬৮ দিন পর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে রেজাল্ট বের করা হয়। ফল প্রকাশের পর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (West Bengal Council of Higher Secondary Education) সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টচার্য জানান, এই বছর মহিলা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৯০%। কেবলমাত্র ৪ জনের অসম্পূর্ণ ফলাফল সামনে এসেছে। পাশের হারের নিরিখে প্রথম স্থান দখল করেছে পূর্ব মেদিনীপুর। এরপর দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তিন নম্বরে পশ্চিম মেদিনীপুর। তাছাড়া, পরপর কালিম্পং, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম রয়েছে। প্রথম দশে ১৫টি জেলার ৫৮ জন। হুগলি থেকে ১৩ জন । বাঁকুড়া ১০ জন। কলকাতা ৫ জন । আরোও পড়ুন : ১০ বছর আগে ডোনার কাছে বিশেষ আবদার ছিল সৌরভের! দাদার কথায়..‘ও আয় করবে, আর আমি…’ উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম আলিপুরদুয়ারের অভীক দাস (৪৯৬)। উচ্চমাধ্যমিকে দ্বিতীয় সৌম্যদীপ সাহা (৪৯৫), নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র সৌম্যদীপ। তৃতীয় হয়েছেন মালদার অভিষেক গুপ্ত (৪৯৪)। এদিকে, মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন চন্দননগরের স্নেহা ঘোষ (৪৯৩)। মেয়েদের মধ্যে যুগ্মভাবে প্রথম কোচবিহারের প্রতীচী রায় তালুকদার (৪৯৩)। পঞ্চম স্থানে স্কটিশচার্চ কলেজিয়েটের শৌনক কর (৪৯২)। আরোও পড়ুন : মঞ্চে দাঁড়িয়ে নখ কাটাই কাল হল অরিজিতের! জুটল অপেশাদার তকমা, গায়কের ভিডিও নিয়ে চর্চা তুঙ্গে সূত্রের খবর, এবার পরীক্ষায় বসেছিলেন ৭ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩২৪ জন। আজ ফল ঘোষণা হলেও, দু’দিন পর, অর্থাৎ শুক্রবার মার্কশিট ও সার্টিফিকেট হাতে পাবেন পরীক্ষার্থীরা। ১০-১৩ মে’র মধ্যে পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন জানানো যাবে। আবেদন পেলে ৭ দিনের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের হাতে চলে আসবে রিভাইজ রেজাল্ট। যে ওয়েবসাইটগুলিতে ফল দেখা যাবে সেগুলি হল, www.wbchsc.wb.gov.in, www.wbresults.nic.in ও www.results.shiksha। অনলাইনে রেজাল্ট দেখতে প্রথমে এই ওয়েবসাইটগুলির যে কোনও একটিতে লগ ইন করতে হবে। হোম পেজে ঢুকলেই স্ক্রিনে একটি লেখা দেখতে পাবে পড়ুয়ারা। লেখাটি হল, West Bengal Higher Secondary Examinations 2024। একে ক্লিক করলেই খুলে যাবে একটি পেজ। সেখানে রোল নম্বর ও জন্ম তারিখ লিখতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। এর পর সাবমিট অপশানে ক্লিক করলে স্ক্রিনে ফুটে উঠবে মার্কশিট।  

  • অর্জুন গড়ে মোদীর সভা, তার আগেই যা হয়ে গেল… জেনেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন সবাই!

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনে আবহে ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১২ জগদ্দলের (Jagaddal) পেপার মিলের মাঠে সভা করার কথা আছে নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi)। কিন্তু তার আগেই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh)। আগামী রবিবার পেপার মিলের মাঠে সভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু তার আগেই একটি ট্র্যাক্টর মাঠ খুঁড়ে দিল। মাঠে যাওয়ার পর এই দৃশ্য দেখতে পান পুলিশ কমিশনার। তিনি ট্র্যাক্টরটিকে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। অন্যদিকে মাঠ খুঁড়ে দেওয়ার খবর কানে আসতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন অর্জুন। তিনি দাবি করেন, মোদীর সভা পণ্ড করতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে ব্যারাকপুরের পদ্ম প্রার্থী (BJP) বলেন, ‘সিপির তত্ত্বাবধানেই এসব হয়েছে। এসব তৃণমূলের পুরসভা করেছে। পার্থ ভৌমিকের অঙ্গুলিহেলনে এসব হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলের নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কাজ। কিন্তু পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ, কিছুই করবে না। আজ থেকে বিজেপির ছেলেরাই এই মাঠ পাহারার কাজ করবে’। আরও পড়ুনঃ তৃণমূল ফেল! বাংলার এই আসনে ফের ফুটবে পদ্ম, তৃতীয় দফার ভোট হতেই ‘ফলাফল’ ঘোষণা মালব্যর অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম অবশ্য মাঠ খুঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ট্র্যাক্টর দিয়ে মাঠ সমান করার কাজ চলছিল। ওই এলাকায় যতগুলি মাঠ রয়েছে, সবগুলির সংস্কার এবং সৌন্দর্যায়ন করা হচ্ছে। ওই মাঠে রানিং ট্র্যাক বসানো হবে। সেই কারণে মাঠ সমান করার কাজ করা হচ্ছিল। সোমনাথের কথায়, ‘মাটি খোঁড়া হচ্ছে না। মাঠের মাটিতে প্লাস্টিক মিশে আছে, ট্যাক্টর দিয়ে সেই প্লাস্টিক মাটি থেকে আলাদা করার কাজ করা হচ্ছিল। এরপর ঘাস বসানো হবে। রানিং ট্র্যাক বানানোর জন্য মাটির সমান করার কাজ করা হচ্ছে। এরপর রোলার চালানো হবে। ঘাসও বসবে’। তৃণমূল বিধায়ক জানান, ওই মাঠে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা হওয়ার কথা আছে সেই বিষয়ে তাঁর কাছে খবর ছিল না। সেই জন্যই কাজ করা হচ্ছিল। খবর পাওয়া মাত্রই কাজ বন্ধ করে মাঠ সমান করার চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি। অন্যদিকে পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, এটা কোনও ঘটনা নয়।

  • তৃণমূল ফেল! বাংলার এই আসনে ফের ফুটবে পদ্ম, তৃতীয় দফার ভোট হতেই ‘ফলাফল’ ঘোষণা মালব্যর

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার রাজ্যে সম্পন্ন হয়েছে তৃতীয় দফার নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ সহ রাজ্যের মোট ৫টি আসনে ভোট হয়েছে গতকাল। তৃণমূল, বিজেপি নাকি অন্য কোনও দল? কোন আসনে কে বাজিমাত করল তা জানতে আগামী ৪ জুন অবধি অপেক্ষা করতে হবে সকলকে। তবে তার আগেই বুধবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি বিরাট দাবি করলেন বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান এবং পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য (Amit Malviya)। এদিন সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন বিজেপি নেতা। অমিত লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় দফার নির্বাচনের পর সুখবর এসেছে। ফের একবার মালদা উত্তর আসন দখল করতে চলেছে বিজেপি। মালদা দক্ষিণে ত্রিমুখী লড়াই হয়েছে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মালদা দক্ষিণে ৮০০০ ভোটে পরাজিত হয়েছিল বিজেপি। তৃণমূল তৃতীয় স্থান পেতে পারে’। Good news coming in after Phase 3 in West Bengal. BJP all set to retain Maldaha Uttar and has a distinct edge in Maldaha Dakshin, which saw a three corner contest. BJP had lost out on Dakshin in 2019 by 8,000 odd votes. TMC may finish third. So far, 8/10 for the BJP. — Amit Malviya (मोदी का परिवार) (@amitmalviya) May 8, 2024 নিজের পোস্টের শেষে অমিত লেখেন, ‘এখনও অবধি বিজেপি ৮/১০’। গতকালই সম্পন্ন হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। আর আজ সকালেই বিজেপি নেতার এই পোস্ট। রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্যে। আরও পড়ুনঃ ‘উঠতে দিতে চাইতো না স্বামী…’! তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার এই ‘কালো অধ্যায়’ জানেন না অনেকেই! উল্লেখ্য, মালদা উত্তর কেন্দ্রে এবার হেভিওয়েট প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানো হয়েছিল। অন্যদিকে বিজেপি আস্থা রেখে বিদায়ী সাংসদ খগেন মুর্মুর ওপর। দুই হেভিওয়েটের এই লড়াইয়ে শেষ অবধি কে বাজিমাত করে তা দেখার অপেক্ষায় ছিল রাজ্যবাসী। তবে আজ অমিত দাবি করলেন, মালদা উত্তরে ফের পদ্ম ফুটতে চলেছে। অন্যদিকে মালদা দক্ষিণের কথা বলা হলে, এই আসনে শাহনওয়াজ আলি রায়হানকে দাঁড় করিয়েছিল জোড়াফুল শিবি। অন্যদিকে বিজেপির বাজি ছিল শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। গতবার খুব অল্পের জন্য কংগ্রেসের আবু হাসেম খান চৌধুরীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। মাত্র ৮০০০ ভোটের জন্য পরাজিত হতে হয় তাঁকে। সংসদে যেতে পারেননি। অমিতের দাবি, এবার মালদা দক্ষিণে ত্রিমুখী লড়াই হয়েছে। দেখা যাক, দুঁদে রাজনীতিকদের এই লড়াইয়ে শেষ অবধি বাজিমাত করে কে!

  • ১০ বছর আগে ডোনার কাছে বিশেষ আবদার ছিল সৌরভের! দাদার কথায়..‘ও আয় করবে, আর আমি…’

    বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের পর্দার দেখা যাচ্ছে ঋতুপর্ণকে! অবাক লাগছে? আসলে স্টার জলসার উদ্যোগে আবার ঋতুপর্ণ ঘোষের (Rituparno Ghosh) জনপ্রিয় শো ঘোষ এন্ড কোম্পানির সম্প্রচার শুরু হয়েছে। বহুল চর্চিত এই অনুষ্ঠানে একসময় অংশগ্রহণ করেছিলেন অনেক তারকাই। খ্যাতনামা ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি (Sourav Ganguly) থেকে শুরু করে আজকের সিনেজগতের প্রথম সারির পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, বাদ পড়েন নি কেউই। ইতিমধ্যেই স্টার জলসার পক্ষ থেকে পুনরায় সৌরভ (Sourav Ganguly) ও ডোনা গাঙ্গুলির (Dona Ganguly) এপিসোডটি শেয়ার করা হয়েছে। ‘পুরানো সেই দিনের কথা’ মনে করে রীতিমতো আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন দর্শকরা। শুধু তাই নয়, ফের পর্দায় একসঙ্গে ডোনা আর মহারাজ কে দেখতে পেয়ে দুজনেই ফ্যানেরাই যারপরনাই উচ্ছ্বসিত। যদিও, কর্তা-গিন্নি দুজনেই বিখ্যাত নাম, তবে ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রশ্ন যেন সম্পর্কের মধুরতা তুলে ধরতে সাহায্য করেছে। আরোও পড়ুন : ভুলে যান খুচরো নিয়ে ভোগান্তি! এবার QR Code দিয়েই টিকিট কাটুন মেট্রোয়, নয়া ব্যবস্থা গ্রিন লাইনে ঋতুপর্ণর প্রশ্ন ছিল, ‘সৌরভ যেহেতু অনেক বেশি সফল ক্রিকেটার হিসেবে, নাচের জগতে ডোনার সাফল্য হয়তো অতটাও নয়, এই নিয়ে কি কোনও মন কষাকষি হয়?’ জবাবে ডোনার সাফ জবাব ছিল একটাই, তিনি জানেন যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় লেজেন্ড। পাশাপাশি বিখ্যাত এই নৃত্যশিল্পী আরোও বলেন, সেই সাফল্য তাঁর কেরিয়ারে তখনও (বছর ১০ আগে) আসেনি। অনেক কিছু পাওয়া বাকি রয়ে গিয়েছে। তবে, সৌরভ অবশ্য তার সহজাত হিউমার মিশিয়ে প্রসঙ্গটির ব্যাখ্যা করেছেন। তার কথায়, ‘আমার কিন্তু রোলটা চেঞ্জ হলে কোনও অসুবিধে নেই। ও আয় করবে, আমি উপভোগ করব। সকালে বিছানায় বসে বসে চা খাব।’ বরের মুখে এমন কথা শুনে হাসি থামাতে পারেননি ডোনা। বলেন, ‘সকালের চা-টা কিন্তু ওই বানায়। আমি মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যাই।’ সব মিলিয়ে বলা যায়, সৌরভ ডোনা দুজনেই মজা করেছেন।  

  • ‘উঠতে দিতে চাইতো না স্বামী…’! তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার এই ‘কালো অধ্যায়’ জানেন না অনেকেই!

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অভিনেত্রী থেকে নেত্রী হয়েছেন তিনি। দুই ভূমিকাতেই ব্যাপক সফল জুন মালিয়া (June Maliah)। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন। এবার তাঁকে লোকসভার টিকিট দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানো হয়েছে জুনকে। বর্তমানে শ্যুটিং, প্রচার, এসব নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত তিনি। দম ফেলার ফুরসতটুকু নেই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, একটা সময় এই জুনের জীবনই একপ্রকার থমকে গিয়েছিল। আর তাঁকে সেই পরিস্থিতিতে এনে দাঁড় করিয়েছিল প্রথম স্বামী। বেশ কয়েকবছর আগে একটি সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছিলেন জুন। সেই সময় বলেছিলেন, তারকা জুনকে অনেকেই চেনেন। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্বন্ধে অনেকেই জানেন না। সেদিন ব্যক্তিগত জীবনের ওপর থেকে খানিক পর্দা সরিয়েছিলেন অভিনেত্রী। শহর কলকাতার নামকরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী ছিলেন জুন দুবে। অভিনেত্রীর বাবা ছিলেন ব্যাঙ্কার। প্রচণ্ড রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে ছিলেন তিনি। বন্ধুদের বাড়িতে অবধি যাওয়ার অনুমতি পেতেন না। যদি কোনও বন্ধুর বাড়ির যেতে হতো তাহলে আগে জানতে চাওয়া হতো সেই বন্ধুর দাদা কিংবা ভাই আছে কিনা। এমন রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ের জীবন বদলে যায় দেরাদুনে মাসির বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পর। জুন তখন হাই স্কুলের ছাত্রী। দেরাদুনে গিয়েই প্রথম দেখেন সঞ্জীব মালিয়াকে। আলাপ হয় দু’জনের। প্রথম দেখাতেই মন হারিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যদিও সঞ্জীব তখন তাঁকে বিশেষ পাত্তা দেননি। তবে কয়েক বছর পর কলেজে পড়ার সময় ফের দেখা দু’জনে। আরও পড়ুনঃ হিরণের মাথায় বাজ! গুরুতর অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে, এবার কী হবে? শোরগোল বঙ্গে মাথায় তেল, দু’টো বিনুনিওয়ালা জুনের চেহারা তখন অনেকটা বদলেছে। এবার জুনকে দেখে প্রেমে পড়ে যান সঞ্জীবও। খুব কম বয়সেই ভালোবেসে বিয়ে করেন তাঁরা। মাত্র ২০ বছর বয়সেই সাত পাকে বাঁধা পড়েন জুন। জুন দুবে থেকে হয়ে যান জুন মালিয়া। প্রথমে জুন-সঞ্জীবের সম্পর্ক মামতে চাননি জুনের বাড়ির লোক। তবে ছেলের বাড়ির আর্থিক স্বচ্ছলতা দেখে আর ‘না’ বলেননি। বিয়ের দু’বছরের মাথাতেই জুনের কোল আলো করে আসে পুত্র শিবেন। এরপর জন্ম হয় কন্যা শিবাঙ্গিনীর। ধীরে ধীরে বাড়িকেন্দ্রিক জীবন হয়ে যায় তাঁর। অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘যে বয়সে আমার সব বান্ধবীরা আনন্দ করছিল, আমি তখন ডায়পার পাল্টাচ্ছিলাম এবং ফিডিং বোতল ধুচ্ছিলাম’। জুন বলেছিলেন, ‘আমি আমার প্রথম স্বামীর বিষয়ে বলছি বলে ভাববেন না যে আজ সম্পর্ক নেই তাই নিন্দা করছি। কিন্তু ও আমায় একেবারেই ওপরে উঠতে দিতে চাইতো না। আমার সাফল্য সহ্য করতে পারতো না। অভিনয়ে সাড়া পাচ্ছিলাম বলে নানান ভাবে আমায় বাধা দিত। কিন্তু আমি থামিনি। এরপর একটা সময় বাবার কাছে চলে আসি’। দ্বিতীয় স্বামী সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুন মালিয়া জুন জানিয়েছিলেন, তিনি অভিনয় করবেন একথা শোনার পর সঞ্জীব বলেছিলেন, ‘ও তুমি পারবে না’। এই কথাটাই তাঁকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তাড়া দিত বলে জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এরপর একদিন সব ছেড়ে বাবার কাছে চলে আসেন তিনি। জুনের বাবার শরীরে তখন ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে। মেয়েও বৈবাহিক জীবনে খুশি নয়। বাবার কথাতেই দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁর কাছে চলে আসেন জুন। খাতাউ কলমে যদিও তখনও বিবাহিতা ছিলেন তিনি। সন্তানদের দায়িত্ব বাবা দিতে চাননি। সেই কারণে শিবেন এবং শিবাঙ্গিনী ছোট থেকেই জেনেছে তাঁদের কাছে তাঁদের মা-ই সব। এরপর থেকে সিঙ্গেল মাদার হিসেবে যাত্রা শুরু জুনের। এই সময়কালে প্রেমও এসেছে অভিনেত্রীর জীবনে। বহু বছর সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন দু’জনে। জুন বলেছিলেন, ‘আমার সন্তানরা যতদিন না বড় হচ্ছে, নিজেদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, ততদিন আমি বিয়ে নিয়ে ভাবব না’। সেই কথা মতোই, শিবেন এবং শিবাঙ্গিনী বড় হওয়ার পরেই সৌরভের হাত ধরে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেন অভিনেত্রী।

24X7 Live News TV/Web Portal/Live App/Daily E News Paper Multinational & Multilingual Live News & Latest Updates, International to National News, Political to Social, Technical & business, Sports News, Local to Global impartial news coverage. Stay updated with us 24X7 Live News TV! Impartial, Intellectual, International, IOB News Network stay updated

24X7 লাইভ নিউজ টিভি/ওয়েব পোর্টাল/লাইভ অ্যাপ/ডেইলি ই নিউজ পেপার বহুজাতিক এবং বহুভাষিক লাইভ নিউজ এবং সর্বশেষ আপডেট, আন্তর্জাতিক থেকে জাতীয় সংবাদ, রাজনৈতিক থেকে সামাজিক, প্রযুক্তিগত ও ব্যবসায়িক, ক্রীড়া সংবাদ, স্থানীয় থেকে বিশ্বব্যাপী নিরপেক্ষ সংবাদ কভারেজ। আমাদের সাথে আপডেট থাকুন 24X7 লাইভ নিউজ টিভি! নিরপেক্ষ, বুদ্ধিজীবী, আন্তর্জাতিক, আইওবি নিউজ নেটওয়ার্ক আপডেট থাকুন